Wednesday 10 February 2021

মধেরার সূর্য মন্দির

 গুজরাটের এক ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ! মধেরার সূর্য মন্দির! 

ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গুজরাট রাজ্য ভারতের “পশ্চিমের মণি”। ভারতের এক সবচেয়ে শিল্পোন্নত এবং সমৃদ্ধ রাজ্য গুজরাত আধুনিক প্রতিবেশ এবং যুগবাহিত ঐতিহ্যের একটি আনন্দময় সংমিশ্রণ।

গুজরাটের মানুষের মধ্য দিয়ে এই রাজ্যের স্পন্দনশীল সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে।


গুজরাট দেশের এক অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্য। এই রাজ্য তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক তাৎপর্য, হস্তশিল্প এবং অগণিত পর্যটক আকর্ষণের জন্য সুখ্যাত। ভারতের সবচেয়ে শিল্পোন্নত অঞ্চল হওয়া ছাড়াও গুজরাট সমগ্র দেশের একটি প্রধান কেন্দ্র। প্রেম, সহজাত দক্ষতা, রহস্য, স্পন্দনশীল রঙ এবং অসীম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি দেশ গুজরাট অসংখ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

চলুন আজ আমরা মধেরার সূর্য মন্দির ঘুরে আসি। 


#আহমেদাবাদ

মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে যুক্ত অপরিমেয় ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কারণে আহমেদাবাদ গুজরাটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে এক অন্যতম। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের দ্বারা পরিদর্শিত গুজরাটের এই বিখ্যাত পর্যটক গন্তব্য তার অনন্য স্থাপত্যের জন্য জনপ্রিয়। 


আহমেদাবাদের কিছু জনপ্রিয় পরিদর্শনীয় স্থানগুলি হল –


সবরমতি আশ্রম / মহাত্মা গান্ধীর ঘর

ক্যালিকো মিউজিয়াম অফ টেক্সটাইল

আদালাজ স্টেপ-ওয়েল

হাথি সিং জৈন মন্দির

কঙ্করিয়া লেক, ভাদ্র ফোর্ট

শেকিং মিনার

গান্ধিনগর

আহমেদাবাদের উত্তরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গুজরাটের রাজধানী গান্ধিনগর অক্ষরধাম এবং শামলাজি-র মত অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র! 

আহমেদাবাদ থেকে পাটন হাইওয়ে হয়ে মধেরা (প্রায় ৯৭ কিমি) 


#সূর্য_মন্দির 

সূর্যের উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি মন্দির। এটি আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ৯৭ কি মি দূরে পুষ্পবতী নদীর তীরে মধেরাতে নির্মিত। মধেরা মহেশানা জেলার একটি ছোট শহর । 


 মেহসানা একটি জেলা শহর ও পৌরসভা। চৌদ্দ শতকে প্রতিষ্ঠিত,মেহসানা চাওডা/চাভডা রাজবংশের উত্তরাধিকারী রাজপুত মেহসাজী চাভডা প্রতিষ্ঠা করেন!

চৌলুক্য বা সোলাঙ্কি রাজবংশের প্রথম ভীমের রাজত্বকালে 1026-27 খ্রিস্টাব্দে, মধেরার এই সূর্য মন্দিরটি নির্মিত হয়। বর্তমানে মন্দিরটি উপাসনার কাজে ব্যবহৃত হয় না। এটি ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে। সম্পূর্ণ মন্দিরের বিভিন্ন নকশা,কারুকাজ ও স্থ্যাপত্যের মাঝে বিভিন্ন গানিতিক সংখ্যা,জ্যামিতি ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের তাৎপর্যপূর্ণ সৌন্দর্য রয়েছে।

ব্রহ্ম পুরান মতে শ্রী রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের পর ঋষি বশিষ্ঠের নিকট ব্রাহ্মণ (রাবণ) হত্যার জন্য নিজেকে শুদ্ধ করতে তীর্থ যাত্রা করতে চান। ঋষি বশিষ্ঠ তাকে ধর্মারন্যে গিয়ে যোগ সাধনা করতে বলেন। এই ধর্মারন্য বর্তমানের মধেরা বলে ধারনা করা হয়। শ্রী রামচন্দ্র এখানে সীতা পুর নামে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন।

এই মধেরাতে ১০২৬ সালে সোলাঙ্কি রাজা ভীমদেব। সূর্য মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন যখন   গজনির সুলতান মাহমুদ গজনী সোমনাথ মন্দির ও এর আশে পাশের এলাকা ধ্বংস এবং লুট করছে। প্রায় 20,000 সৈন্যের একটি বাহিনী মোধেরায় আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।  ইতিহাসবিদ এ কে মজুমদার তত্ত্ব জানায় যে সূর্য মন্দিরটি এই প্রতিরক্ষা স্মরণার্থে নির্মিত হয়েছিল। 


এই মন্দিরটি প্রথম ধ্বংস করার চেষ্টা করে আলাউদ্দিন খিলজি।মন্দির ধ্বংসের আগে এখানে গণেশ, শীতলা, বিষ্ণু, কালীর ও নটরাজের মন্দির ছিল। মোট মন্দিরের সংখ্যা ছিল ১০৮টি। সেগুলো আলাউদ্দিন খলজি ধ্বংস করেন। 

যদিও ধ্বংস ও ক্ষতি সাধনের পরও যা অবশিষ্ট রয়েছে মন্দিরের বিশেষত্ব ও তাৎপর্য বোঝানর জন্য সেটুকুই যথেষ্ট। মন্দিরটি এমন ডিজাইনে তৈরি যা সে সময়ে ভারতবর্ষের জ্যোতিষশাস্ত্র, সংখ্যাতত্ত্ব, ইত্যাদির জ্ঞান কোন পর্যায় ছিল- মন্দিরের স্থাপত্যকলা থেকে তা বোঝা যায়। সূর্য যখন বিষুবীয় সময়ে পৌছায় তখন সূর্যের প্রথম রশ্মি মন্দিরে স্থাপিত একটি সূর্যের ছবির উপর পড়ত।


মন্দিরের ছিল তিনটি প্রধান অংশঃ সূর্য কুণ্ড,সভা মণ্ডপ ও গুরা মণ্ডপ।


#সূর্যকুণ্ড রামকুণ্ড নামেও পরিচিত। এটি বেশ বড় আর আয়তাকার আকৃতির! 

এখানে পবিত্র জল রাখা হত যেখানে ভক্তরা সূর্যদেব কে পূজার আগে অবগাহন করত। সূর্য মণ্ডপ তৎকালীন ভারতীয়দের জ্যামিতিক আর গানিতিক উৎকর্ষতার এক অনন্য নিদর্শন।এর চারিপাশ এর কম্পোজিশন করা ড্যাজলিং প্যাটার্নে । এটি অসংখ্য পাথরের তৈরি সিঁড়ি তে বিন্যস্ত যাতে খুব সহজে ভক্তরা নিচে নামতে পারত। এই সিঁড়ি গাত্রে ১০৮ টি কুঠি তৈরি আছে। 


#সভা_মণ্ডপ


এটি তৈরি হয়েছিল ভক্তদের সমাবেশের জন্য।এটি সব দিক দিয়ে খোলা।এই মণ্ডপটি ৫২ টি অতি জটিল ও দুর্বোধ্য কারুকাজময় নকশা খোদাইকৃত খিলান দিয়ে ভিত দেয়া।এখানে ৫২ টি খিলান ব্যবহারের করা হয়েছে সৌর বছরের ৫২ টি সপ্তাহ বোঝানর জন্য।খিলান গুলোতে বিভিন্ন নকশার পাশাপাশি রামায়ণ, মহাভারত ও শ্রীকৃষ্ণ লীলা থেকে বিভিন্ন কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। 

#প্রধান_মন্দির

মন্দিরটি সম্পূর্ণ একটি উল্টো পদ্ম ফুলের স্তম্ভমুলের চতুষ্কোণ পীঠিকাবিশেষের উপর স্থাপিত।এটি এমন ভাবে ডিজাইন করা যেন প্রতি ২১ জুন সূর্য যখন উদিত হবে এবং অস্ত যাবে তখন আলোক রশ্মি রথে পরিভ্রমণ রত সূর্যদেবের উপর পড়বে! 


সম্পূর্ণ ভাস্কর্যটি ছিল অতি মুল্যবান রত্নখচিত।সূর্যের রথটি ৭ টি ঘোড়া সম্বলিত (যা সপ্তাহের সাত দিনকে নির্দেশ করে)এবং সারথি অরুন চতুর্থ ঘোড়ায় উপবিষ্ট।সম্পূর্ণ ভাস্কর্যটি একদম খাটি সোনার তৈরি ছিল। স্বর্ণ ভাস্কর্যটি একটি কূপ বা গহ্বরের উপর স্থাপিত যা ১৫ ফুট গভীর ছিল। সম্পূর্ণ গহ্বরটি স্বর্ণ মুদ্রায় পূর্ণ ছিল যা সোলাঙ্কি রাজারা তাদের বংশানুক্রমিক পুজ্য দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করেছিলেন।

দুঃখের বিষয় এ গুলো মাহমুদ গজনী লুট করে এবং সম্পূর্ণ স্বর্ণমুদ্রা সহ ভাস্কর্যটি নিয়ে যায়।

মন্দিরের বাইরের দেয়ালে সূর্যের ১২টি ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গি দেখান আছে আর তার সাথে আছে ৮ টি দিক বা ৮জন দিকপাল। আরও আছে বিশ্বকর্মা যিনি ভগবান শ্রী কৃষ্ণের স্বর্ণের দ্বারকা নগরী তৈরি করে দেন,সিদ্ধিদাতা গনেশ,শিক্ষা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী মাতা। এছাড়াও আছে সমুদ্রমন্থনের দৃশ্য।


তৎকালীন সময়ের মধেরার শিল্প,সাহিত্য,কলা,জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষতাকে স্মরণ করার জন্য প্রতি বছর উত্তরায়ণের সময়ে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে 

মন্দিরের পিছনে তিন দিন ব্যাপী উত্তরায়ণ উৎসবে ভারতের বিখ্যাত শিল্পীরা এখানে পারফর্ম করে দর্শকের মুগ্ধ করেন। উৎসবটি গুজরাট পর্যটন কর্পোরেশন আয়োজন করে।

Sunday 10 March 2019

Do you Know.... Why do we have white line in the center of highways? There are 3 different lines & every line has a idea behind it

1. If the line is broken, you can overtake
2. If the line is continuous, overtaking is bit risky
3. If the line is double.... Must not overtake as it is Highly dangerous

Sunday 3 March 2019

Eternal Mountain!!


Eternal Mountain

When the sky is cloudless, when there is not a whiff of smoke, not a flake of dust in it, have any one of you witnessed the loveliness of the Himalayas? One side the whole of Hindusthan stretches like a meadow extending for a thousand miles, on the other side there are mountains on mountains and above them other mountains, and far, far away from these have you seen the snowy ranges? On that white & transparent snow, the sun beams are blazing brilliantly.
It appears like large cities adorned with rows of lights on the coming of prince. In the east and in the west as far as you can see, peaks rise on peaks; piles of peaks rise above them, still more peaks rise above them. Who knows where they end? No pause, no end one may as well call them eternal..!

The rainy season is just over; streams of white water like the forth of milk are gushing down with gurgling sounds from the fountains on all sides. In some, rainbows are seen in the sunlight, while some where a spring is flowing forever unnoticed through eternal darkness no one ever sees it; Still there is no pause in the flow wherever there is a spring, there are woods of plants, and where there is none, there are grim-looking, over hanging stones which seem about to crash instantly on the neck of any one who nears them.

Yonder is a fearful precipice, and just on the brink of it is a deep hollow. Where is the bottom of the hollow? It is not seen if it can be seen you will only see a rivulet running along. Its water is jumping from stone to stone, dancing and flowing on….!!
The Himalayas have remained just as you see them today, for time without end. Their snowy ranges have been just like ever the same. All things have been like this. In the rain too the beauty of the Himalayas is as sublime and yet fascinating, as awful and ravishing..!!

Translated by: C. L. Wren




Sunday 20 January 2019

একটি ভার্চুয়াল মৃত্যু!!!!

একটি ভার্চুয়াল মৃত্যু

২০৫০, সালের একটি মৃত্যু ও তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা!!
......
সাল: 2050
আজ ২৫শে মার্চ আর কিছুক্ষণ পর অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে! My last day in Earth (MLDIE) অ্যাপ এর মাধ্যমে জানতে পেরে রমলা (অবনির পত্নী) তার ও অবনির সমস্ত বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে Social network ও বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছেন.... দুপুর ২.৩৭ মিনিটে অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে!!!!!
অবনি কে তার ভার্চুয়াল রুমে সুসজ্জিত খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে!! সমস্ত বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনেরা AR ও VR (Virtual Reality And Augmented Reality) মাধ্যমে সারা ঘরে উদ্বেগের সঙ্গে বিরাজমান!! মেয়ে ঘন, ঘন FB তে স্ট্যাটাস আপডেট করে চলেছে! সুদূর প্রবাসে বসে বাবার সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলে চলেছে!! বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার নিরন্তর এক ভার্চুয়াল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে!!
দুপুর ২ টো রমলা সোশাল মিডিয়ায় আপডেট দিলেন  last 30 Minutes to go. সঙ্গে হ্যাশট্যাগ

 #শেষদিনেঅবনি

রমলা ভার্চুয়াল রুমে উপস্থিত সব বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনদের সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলতে বলতে এক বার করে ঘড়ি দেখে নিচ্ছে!!
ঘড়িতে ২.৩৬ অবনী একবার সারা ঘরের দেয়ালে উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে এলেক্সা কে বললো এলেক্সা আমার কবিতা শুনতে চাই!  Alexa অবনির শেষ অনুরোধ রাখলো কিছু ক্ষণ পর Alexa এর মাধ্যমে বেজে উঠলো
"অবনী বাড়ি আছো
অবনী বাড়ি আছো
ভার্চুয়ালে মজে আছে জগৎ
আর শুনিনা দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছো ?'
................
আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি বন্ধুর ডাক দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছ ?"

২.৩৭ অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে!! দেয়াল জুড়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের ভিড় আস্তে, আস্তে পাতলা হয়ে এসেছে!! মেয়ে তার বাবার মৃতদেহের সাথে একটা ভার্চুয়াল সেল্ফি তুলে FB তে স্ট্যাটাস আপডেট করলো!!
My father checkout from earth to heaven RIP Dad!!  1000 Sad reaction 500 comments;
গুটি কয়েক ল‌ইক!!

রমলা চোখের জল মুছে স্ট্যাটাস আপডেট করলো আজ থেকে আর কেউ, অবনি ফেসবুকে আছো বলবেনা!! চির বিদায় অবনি!
#শ্মাশানসঙ্গী অ্যাপের মাধ্যমে অবনির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে !! কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা এসে অবনিকে নিয়ে যাবে!!
রমলা তৈরি হয়ে বসে! মেয়ে বাবার মুখে ভার্চুয়ালি আগুন দিয়েছে!! চার দেয়ালে অবস্থিত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধব চোখের জলে অবনি কে শেষ বিদায় জানিয়ে যে যার কাজে ফিরে গেছে!!!
শ্মাশান থেকে ফিরে রমলা ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস আপডেট করলো
*Once again I am single*
Feeling alone
500 like 234 Comments
হঠাৎ করেই Alexa বলে উঠলো
অবনী বাড়ি আছো!!
অবনী বাড়ি আছো!!
ভার্চুয়ালে মজে আছে জগৎ
আর শুনিনা দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছো ?'

বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধরে -
'অবনী বাড়ি আছো ?'

আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি বন্ধুর ডাক দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছ ?'
*******

এই ভাবেই কি আগামী প্রজন্ম সম্পর্ক রক্ষায় ব্যর্থ হবে!! কাছের একটা মানুষ চলে যাবে অথচ তারা কেউ জানতে পারবেনা! ডিজিটাল জগতে আমরা ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এতোই ব্যস্ত হয়ে পরবো!!

ভার্চুয়াল জগতের কাছে সত্যিকার ভাবেই পরিজিত হবে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব !!!!

Well come to Virtual world 2050!!!

✒✒✒
গোলোকেন্দু
একটি ভার্চুয়াল মৃত্যু

*২০৫০* সালের একটি মৃত্যু ও তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা!!
......
সাল: 2050
আজ ২৫শে মার্চ আর কিছুক্ষণ পর অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে! My last day in Earth (MLDIE) অ্যাপ এর মাধ্যমে জানতে পেরে রমলা (অবনির পত্নী) তার ও অবনির সমস্ত বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে Social network ও বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছেন.... দুপুর ২.৩৭ মিনিটে অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে!!!!!
অবনি কে তার ভার্চুয়াল রুমে সুসজ্জিত খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে!! সমস্ত বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনেরা AR ও VR (Virtual Reality And Augmented Reality) মাধ্যমে সারা ঘরে উদ্বেগের সঙ্গে বিরাজমান!! মেয়ে ঘন, ঘন FB তে স্ট্যাটাস আপডেট করে চলেছে! সুদূর প্রবাসে বসে বাবার সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলে চলেছে!! বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার নিরন্তর এক ভার্চুয়াল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে!!
দুপুর ২ টো রমলা সোশাল মিডিয়ায় আপডেট দিলেন  last 30 Minutes to go. সঙ্গে হ্যাশট্যাগ

 #শেষদিনেঅবনি

রমলা ভার্চুয়াল রুমে উপস্থিত সব বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনদের সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলতে বলতে এক বার করে ঘড়ি দেখে নিচ্ছে!!
ঘড়িতে ২.৩৬ অবনী একবার সারা ঘরের দেয়ালে উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে এলেক্সা কে বললো এলেক্সা আমার কবিতা শুনতে চাই!  Alexa অবনির শেষ অনুরোধ রাখলো কিছু ক্ষণ পর Alexa এর মাধ্যমে বেজে উঠলো
"অবনী বাড়ি আছো
অবনী বাড়ি আছো
ভার্চুয়ালে মজে আছে জগৎ
আর শুনিনা দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছো ?'
................
আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি বন্ধুর ডাক দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছ ?"

২.৩৭ অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে!! দেয়াল জুড়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের ভিড় আস্তে, আস্তে পাতলা হয়ে এসেছে!! মেয়ে তার বাবার মৃতদেহের সাথে একটা ভার্চুয়াল সেল্ফি তুলে FB তে স্ট্যাটাস আপডেট করলো!!
My father checkout from earth to heaven RIP Dad!!  1000 Sad reaction 500 comments;
গুটি কয়েক ল‌ইক!!

রমলা চোখের জল মুছে স্ট্যাটাস আপডেট করলো আজ থেকে আর কেউ, অবনি ফেসবুকে আছো বলবেনা!! চির বিদায় অবনি!
#শ্মাশানসঙ্গী অ্যাপের মাধ্যমে অবনির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে !! কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা এসে অবনিকে নিয়ে যাবে!!
রমলা তৈরি হয়ে বসে! মেয়ে বাবার মুখে ভার্চুয়ালি আগুন দিয়েছে!! চার দেয়ালে অবস্থিত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধব চোখের জলে অবনি কে শেষ বিদায় জানিয়ে যে যার কাজে ফিরে গেছে!!!
শ্মাশান থেকে ফিরে রমলা ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস আপডেট করলো
*Once again I am single*
Feeling alone
500 like 234 Comments
হঠাৎ করেই Alexa বলে উঠলো
*অবনী বাড়ি আছো*
*অবনী বাড়ি আছো*
ভার্চুয়ালে মজে আছে জগৎ
আর শুনিনা দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছো ?'

বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধরে -
'অবনী বাড়ি আছো ?'

আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি বন্ধুর ডাক দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছ ?'
*******

এই ভাবেই কি আগামী প্রজন্ম সম্পর্ক রক্ষায় ব্যর্থ হবে!! কাছের একটা মানুষ চলে যাবে অথচ তারা কেউ জানতে পারবেনা! ডিজিটাল জগতে আমরা ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এতোই ব্যস্ত হয়ে পরবো!!

ভার্চুয়াল জগতের কাছে সত্যিকার ভাবেই পরিজিত হবে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব !!!!

Well come to Virtual world 2050!!!

✒✒✒
গোলোকেন্দু

*২০৫০* সালের একটি মৃত্যু ও তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা!!
......
সাল: 2050
আজ ২৫শে মার্চ আর কিছুক্ষণ পর অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে! My last day in Earth (MLDIE) অ্যাপ এর মাধ্যমে জানতে পেরে রমলা (অবনির পত্নী) তার ও অবনির সমস্ত বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে Social network ও বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে খবর পাঠিয়েছেন.... দুপুর ২.৩৭ মিনিটে অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে!!!!!
অবনি কে তার ভার্চুয়াল রুমে সুসজ্জিত খাটে শুইয়ে রাখা হয়েছে!! সমস্ত বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনেরা AR ও VR (Virtual Reality And Augmented Reality) মাধ্যমে সারা ঘরে উদ্বেগের সঙ্গে বিরাজমান!! মেয়ে ঘন, ঘন FB তে স্ট্যাটাস আপডেট করে চলেছে! সুদূর প্রবাসে বসে বাবার সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলে চলেছে!! বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার নিরন্তর এক ভার্চুয়াল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে!!
দুপুর ২ টো রমলা সোশাল মিডিয়ায় আপডেট দিলেন  last 30 Minutes to go. সঙ্গে হ্যাশট্যাগ

 #শেষদিনেঅবনি

রমলা ভার্চুয়াল রুমে উপস্থিত সব বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনদের সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলতে বলতে এক বার করে ঘড়ি দেখে নিচ্ছে!!
ঘড়িতে ২.৩৬ অবনী একবার সারা ঘরের দেয়ালে উপস্থিত আত্মীয় স্বজনদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে এলেক্সা কে বললো এলেক্সা আমার কবিতা শুনতে চাই!  Alexa অবনির শেষ অনুরোধ রাখলো কিছু ক্ষণ পর Alexa এর মাধ্যমে বেজে উঠলো
"অবনী বাড়ি আছো
অবনী বাড়ি আছো
ভার্চুয়ালে মজে আছে জগৎ
আর শুনিনা দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছো ?'
................
আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি বন্ধুর ডাক দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছ ?"

২.৩৭ অবনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে!! দেয়াল জুড়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের ভিড় আস্তে, আস্তে পাতলা হয়ে এসেছে!! মেয়ে তার বাবার মৃতদেহের সাথে একটা ভার্চুয়াল সেল্ফি তুলে FB তে স্ট্যাটাস আপডেট করলো!!
My father checkout from earth to heaven RIP Dad!!  1000 Sad reaction 500 comments;
গুটি কয়েক ল‌ইক!!

রমলা চোখের জল মুছে স্ট্যাটাস আপডেট করলো আজ থেকে আর কেউ, অবনি ফেসবুকে আছো বলবেনা!! চির বিদায় অবনি!
#শ্মাশানসঙ্গী অ্যাপের মাধ্যমে অবনির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে !! কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা এসে অবনিকে নিয়ে যাবে!!
রমলা তৈরি হয়ে বসে! মেয়ে বাবার মুখে ভার্চুয়ালি আগুন দিয়েছে!! চার দেয়ালে অবস্থিত আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধব চোখের জলে অবনি কে শেষ বিদায় জানিয়ে যে যার কাজে ফিরে গেছে!!!
শ্মাশান থেকে ফিরে রমলা ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস আপডেট করলো
*Once again I am single*
Feeling alone
500 like 234 Comments
হঠাৎ করেই Alexa বলে উঠলো
*অবনী বাড়ি আছো*
*অবনী বাড়ি আছো*
ভার্চুয়ালে মজে আছে জগৎ
আর শুনিনা দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছো ?'

বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধরে -
'অবনী বাড়ি আছো ?'

আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি বন্ধুর ডাক দরজার কড়ানাড়া
'অবনী বাড়ি আছ ?'
*******

এই ভাবেই কি আগামী প্রজন্ম সম্পর্ক রক্ষায় ব্যর্থ হবে!! কাছের একটা মানুষ চলে যাবে অথচ তারা কেউ জানতে পারবেনা! ডিজিটাল জগতে আমরা ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এতোই ব্যস্ত হয়ে পরবো!!

ভার্চুয়াল জগতের কাছে সত্যিকার ভাবেই পরিজিত হবে সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব !!!!

Well come to Virtual world 2050!!!

✒✒✒
গোলোকেন্দু

Saturday 16 June 2018

Vadodara!! My city!!

Vadodara

You are my city...

the cold shadow of old banyan tree!
that dispels the scorching heat of summer!!!

Enhailing this dust flying smells ands feels like home
the cloudy weather, the dim trees, the city looked like and open book.
with nature bringing a colourful beauty to ones heart ....the branches of the banyan tree in the middle of the city stirred and the leaves danced!!


my heart is scribbled without rythm of Garva
to the beautiful change made by ur smiling culture

The shimmers of the moon made the rest of the city glimmer
now its clear why ure a symbol of pride

The lullaby tunes of the mocking bird awakenes momments of passion
My head speaks and so does my heart
am lost in the beautiful city and for ever i want to be
Here, laughter is a pleasant sound
it spreads joy all around
flushing out every despairs of the heart

Just for this city
i will open my eyes and ask the creator for one more day
this are my praises for the city in you!!

Vadodara the banyan city

Friday 16 March 2018

ছেলেবেলার​ রতিবাটী ৩ নং কোলেয়ারী🎱👆
***********
মাঝে মাঝে রাস্তায় ছোট্ট, ছোট্ট ছেলেদের দুরন্তপনা দেখে! অতীতের সেই ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে যায়!! তখন চোখ বন্ধ করে সেই ছোটবেলায় ফিরে যাই। আমি খুব দুরন্ত ধরনের ছিলাম। ছাতে, পেয়ারা গাছের মগডালে খেলতাম, নিজের সাথে নিজেই কথা বলতাম, গল্প করতাম, এই অভ্যাস এখনো রয়ে গেছে। হয়ত কেউ খেয়াল করলে আমাকে পাগল ভাববে।
**
ছোটবেলার কিছু ছবি এখনো চোখে ভাসে, কিন্তু এর মধ্যে কিছু ছবি মনে হয় মনের কল্পনা। আমরা রতিবাটী কলেয়ারী তে থাকতাম। আমার বাবার​ কোলিয়ারিতে চাকরি করার সুত্রে। আমাদের বাসার ঠিক সামনেই 3NO,7NO কোলিয়ারি পিছনে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ, মাঠের পরেই আমবাগান আর নুনিয়া নদী। একদিন বিকেলের কথা মনে আছে। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে, ঘরে লাল বাতি জ্বালানো। আমি বৈঠকখানা ঘরের​ জানালার সামনে বসে বৃষ্টি দেখছি। তুমুল বৃষ্টি, সামনের সব ঝাপসা। চোখ বন্ধ করে এই স্মৃতি মনে করলে এর সাথে সাথে আরেকটা ছবি ভেসে উঠে, এই বৃষ্টির মধ্যে পাসের তাল পুকুরে (কোমোলায়) কুড়োজাল দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরার সেই স্মৃতি আজ শুধুই কল্পনা, আজ এত দুরে বসে সেই ছেলেবেলার আমাদের 3 NO পাড়ার সব স্মৃতি স্পষ্ট দেখি। আমাদের বাসাটা পাড়ার শেষ প্রান্তে, আমাদের বাসার পাশেই​ ছিল গুলিমাটির ঘর, ওখানে দাদারা সরস্বতী পূজা করতো! পেঙ্গাদা,গুনাদা, পার্থদা, প্রসূন আরো অনেকে! একটু বড়ো হয়ে আমরা সবাই মিলে (বীবেক,জীবন, ইরশাদ, অসীম ও রামাকান্ত) সরস্বতী পূজা করতাম! কত মান অভিমান সেই পুজো কে কেন্দ্র করে! এক সময় আবার সবাই বন্ধু হয়ে যেতাম!বাসার অন্য এক পাসে ছিল কলিয়ারীর মেস, সেখানে বাংলার নানান প্রান্তের মানুষের বসবাস ছিল,রোজ সন্ধ্যায় তাসের আসর বসতো!
মেসের ঠিক উল্টো দিকে ছিল বীবেক ও প্রকাশ দের কোয়ার্টার (বাসা) অন্য প্রান্তে এক সমান্তরালে ছিল আমাদের সবার বাসা! আমাদের কোয়ার্টারের সেই লম্বা ছাতটা কথা খুব মনে পড়ে!! গ্রীষ্মকালে​ সবাই মিলে ছাতে ঘুমানোর স্মৃতি! শীতকালে সবাই মিলে গোল হয়ে কয়লার আগুনের​ চারপাশে বসে আগুন পোহানোর সেই স্মৃতিগুলো​ এখনো শীতের দিনে খুঁজে বেড়ায়!!!! কত মানুষের স্মৃতি নিয়ে আজকের 3NO ভারাক্রান্ত! সময়ের কলচক্রে অতীত হারিয়ে গেছে! নিজের মত করে কত ছবি না বানায়, অতিত আর বর্তমান কে একসময় আলাদা করাটাই কষ্ট হয়ে দাড়ায়।
আজ এত দুরে বসে সেই ছেলেবেলার সেই মানুষ জনের কথা পুরানো সাথিদের কথা হঠাৎ মনের মাঝে ভেসে ওঠে!! ছেলেবেলার আমাদের সেই ছোট্ট পাড়ার কথা! সেই সব পরিবার গুলি, একটা পারিবারের মত সবাই মিলে মিশে একসাথে সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিত! ছেলেবেলার সেই সব পরিবার গুলি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে!
*******
ফেলে আসা দিনগুলো!!!